বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দেশে ফিরছেন—এমন ঐতিহাসিক ঘোষণাই এসেছে দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে। বহু বছর পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বিএনপি শুধু স্বাগতই জানাচ্ছে না, বরং এটিকে জাতির জন্য একটি নতুন মোড় বলে আখ্যায়িত করছে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দৃঢ় কণ্ঠে বলেন,
“আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান বাংলাদেশের মাটিতে অবতরণ করবেন। দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে, মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারে তিনি ফিরছেন। আমরা দলীয়ভাবে তাকে ইতিহাসের মর্যাদায় বরণ করতে প্রস্তুত।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনাই নয়; এটি নিপীড়ন–নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষার বিজয়।”
বিএনপি সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মাঝে বিরল উত্তেজনা ও উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে নেয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি—স্বাগত শোভাযাত্রা, ব্যানার–ফেস্টুন, সংগীতায়োজনসহ পুরো রাজধানীজুড়ে সাজানো হচ্ছে বিশেষ আয়োজন।
ফিরে আসার ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রবল সাড়া পড়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী লিখছেন—
“তারেক রহমান আসছেন, দেশ বাঁচাতে আসছেন।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির আন্দোলন, সংগঠন ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে নতুন শক্তি, নতুন দিকনির্দেশনা এনে দেবে। অচিরেই রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।
সব মিলিয়ে, ২৫ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে এক অনন্য রাজনৈতিক মুহূর্ত।
বিএনপি বলছে—দল প্রস্তুত, নেতাকর্মীরা প্রস্তুত, আর বাংলাদেশ অপেক্ষায় জনাব তারেক রহমানকে বরণ করার সেই ঐতিহাসিক দিনের জন্য।
-রাজিব/রাসু